বাঁকুড়া ২০১৬
(মোহরবাড়ির দিকে, মুখ ও উদ্বেগ, বেজে উঠলে শোনা কি যাবে না ?
যাবে একটি রাত্রির শয্যা মহাকাশে
প্রতিধ্বনিদের সেও সহজ রেপ্লিকা, যৌনঅভেনে সেঁকে নেওয়া
এবং ঘামের থেকে নুন নিয়ে এবং রসের থেকে অম্ল নিয়ে যেরকম স্বাদ
থালায় সাজানো দেখে চাঁদ থেকে লালা ঝরছে
যাবে ? ছিপি খুলে চক্ষু ছিটকে বেরচ্ছে আর সিন্ধু ভরে উঠছে আমাদের
যাবে ? স্নানে, শোচনায়, উত্থানের ততটা অসুখে ?
খাদ্যশেকলে বাঁধা সকল পুস্তিকা ছিঁড়ে
ততবার খিদে পায়
আকাশে ছড়ানো মুড়ি আর একমাত্র আধুলির কলা
উপদেশ দেয়, “নগ্ন হয়, নগ্নতর হও”)
১
নখের দর্পণ দ্যাখো, চিহ্নে গোয়েন্দা যদি আঁচড় চিনতে পারে, দ্যাখো
তোমার গল্পের থেকে আমি পাই দুটি কবুতর, দুটি চঞ্চূ, উভয়েই স্ত্রী
যদি ঠোক্কর চিনতে পারে, যদি
যদি হত্যার আহ্লাদ দাও আমি সে রুমালে মোছা রক্তের দাগ
২
যে ঢলকিশোর, রৌদ্রে বালি-জল-শরবন যে চমৎকার আস্তিন গোটানো সাইকেলে যায় যারা, একাকীই যায়, তখনো পদার্থবিদ্যা টুপটাপ পড়ছে হয়ত আদর বলে, ন্যূনতম ভেসে যায় যাকে বলে নদী, হয়ত বলে না শরীর অস্ত্রের বৃত্তি, ক্ষতে যে গড়ায় ঋতু, পূর্ণিমা, আত্মনিবেদন
৩
হাঁস জরায়ুর দাগ, আলো লেগে মনে হল ডিমপালকে জলের ছিটে, চাষীবৌ আঁতকে উঠেছে
৪
ইউনিদের ফর্ম আমাকে ভরতে হবে আজ। একেকটি সই থেকে একেক নার্সিং। মাঠ মানে তো গোলপোস্ট থাকবেই। পতাকা থাকবেই ঊর্ধ্বাকাশে। দর্শকরা উপলক্ষ। প্রত্যেকের জেন্ডার এক। তবু টিকিট আলাদা। সোহাগ আলাদা। তাই আমাকেও এতগুলো চোখ দেখাতে হয়। এঁটো দেখতে হয়। আজ সারাতে হবে কোনো সাদায়তন। ছায়াটুকু ঠিকঠাক কাটতে পারাই আমার চাকরি
৫
বাঙদুয়ারের তেরো জওয়ান
ভাঙে না, গড়েও না
আমার বাহান্ন থাকে
ঝোপে রোপে
ফাঁসে প্রাণ ক৯প্তমুনিয়া
৬
লাট্টুপরোয়ার দিন, কাটে না কল্পের প্র কোপের যেকোনো
ভাবি, রজ্জুটিকে শিক্ষা দেব গিঁটে, তোমাকে অগ্নি তো
পারবে মাতন, শার্দূল পারবে গায়ে রোমাঞ্চ লাগাতে
শিসে যে গর্ত করে সেই তবে যা খুশি পুরুষ
৭
শিলা হে, সুরগেরস্ত, চিঠি ছিল মিথস্করণে, না পড়েও জেনেছি বিজ্ঞান থাকে জীবনের পরে
তোমার তলায় ঘাস হলুদ হয়েছে জানা যায়
কোনো কোনো রোদের লোলুপ, কোনো কোনো তৃণভোজী লোভ
নাচে আর ঘুঙুর ছড়িয়ে রাখে নীহারিকা রোডে
৮
পেন্সিলচূড়ান্ত থেকে তোকে চাই
ল্যাবরিন্থ প্রিয় এত, এত সে শ্রমিক
আমাকেও তুলে নেও
পাতারও নির্লজ্জ খুলে দ্যায়
ঐ অভিভাবক তাহলে
জ্যোতিগুলি, জিহ্বাগুলি উল্টিয়ে আঁকা