17 Dec, 2016 * Editor: Dipankar Dutta * Email: deepankar_dutta@yahoo.co.in * Mobile: 9891628652 * Delhi

Dipankar Dutta is no more. We pray that may his soul rest in peace.

কাব্যডায়েরী : দেবযানী বসু




জিপটানা ওটিরুমের উচ্চচাপ

৫/৩/২০১৬ 
বিশ্রামপদ        
        
বিপদের হাজারটা পদ। প্রেশার চেক করানোর আকাশবাণী। জিরাফের গলার দৌড়ের সমান একটা দৌড় গ্রাস করেছে আমাকে। প্রেম একটা চোদ্দফুট উঁচু শিবলিঙ্গ। ভাবসমাধি। পারিজাতফুল গলায় নারীজাত- মেলায় চলেছে…রেটিনায় অগাধ সবুজ। এই নাও ছবিপ্রমাণ। লাল চায়ে ভেজানো পাসপোর্ট।  আঁখিয়ার চাই অ্যানড্রয়েড লিঙ্গের স্বতস্ফূর্ততা। আজকের বিকেল সুন্দরী হিজড়ের পরমা আলো মেখেছে। নির্ভুলের অনর্থদন্ড মাটির ঢেলা গড়িয়ে দিচ্ছে যাত্রাপথে। জিরাফের হায়ালুমায়ালু চোখ…বাঁশের সাঁকোপেরোনো সন্ধ্যারাত। সন্ধিহাত…কচুরিপানামজা ইচ্ছেনদীর হাত…মন্দিরের বুড়ি ভিখারিনিদের কিছু পয়সা দি। আমাদের ঝালমুড়িতে দ্য জু স্টোরি। মনখারাপের ভাঁড় ভেঙ্গে ইমন বেরোয়। রাতের হল্লা মাচাচ্ছে বাইদানিরা। ঘরে ফিরতে ভুলে গেছি। ছদ্ম ঝিল্লিদের চিনি। ছুঁড়ে দি কড়ি ঝিকোঝিকো…পেচ্ছাপের সঙ্গে বেরিয়ে যাওয়া ব্রেন…আমি ঘুঙুর পায়ে মদনমোহন নাচলাম। প্রণত হলাম সবার কাছে। কিছুক্ষণের জন্য গাছে ঘর বাঁধি রাই। কপালের তিলকে শিহরণ। আঁখিয়ার নাড়ি টিপে ধরে টাওয়ার ছিন্ন করি। বিশ্বযুদ্ধের আগেকার পূর্ণিমা চাঁদের গল্প ঝরে পড়ে।


৬/৩/২০১৬
আহেলীদীপা

কফিমেসিনের বিগড়ে যাবার ইতিহাস ভুলি না। কতকাল ধরে চাঁদের অবস্থা নবরত্ন গুঁড়োগুঁড়ো। চন্দ্রের নপুংসক বিন্দু। মাথার চারপাশে হাজার আমির মৃত্যুর কাউন্ট ডাউন… ইংরাজি ফাকে আরো বহুবার চিচিং লাগিয়েছি। এক চোখে আঁখিয়া অন্যচোখে আহেলী। মাথার উপর উপগ্রহ কোলকাতা শিলিগুড়ি দিল্লি হাওড়া দিয়ে লুডোছক বানায়। আমাদের পথে বসানো ভেন্ডিং মেসিনরা পাতাবাহারপাতা ঝরিয়ে দেয়। আজ দুপুরে ঘুমে ঢুলে পড়ি। আহেলী জাহাজি তরঙ্গ তোলে। জনতার মাঝে ঝেড়ে পেড়ে সোজা হই। টিউবরেলের কাঁচের দরজার ওর গালের তিল আটকে আছে। আর আমি ওর গালে সূর্যমুখী ফুলের বীজ…গৌড়সারংয়ে মেশে অসময়ে গুড় জ্বাল দেবার গন্ধ। তক্ষুনি শিয়রজানলার নাম দি আহেলীদীপা। ফোয়ারা ফাটাই হাসি দিয়ে…ইঙ্গিতে…পবিত্র ঘাম আমার। উত্তেজনা বিজ্ঞাপনের ঝুলন্ত কাপড়ে লাগে। বিড়াল ঘি ও ঘা খাওয়া ভোলে দ্রুত। তত ল্যাজ ফুরফুরে। ভোলাভুলির ঝুলিতে স্টোরি অফ আ সিম্পল সোল। অভিশপ্ত জুতো বয়ে বয়ে রঙিন থেকে রঙ্গিলারে…হলুদ সাবমেরিন আমি ঘরোয়া বাগানের। উৎসব শেষে খাঁচার পাখিদের মমিদেহ পড়ে থাকে। হলুদচোখের মানুষেরা তুলে নেয়। বিড়ালের জিভ আন্ডারটোনড… মস্তানি লাগে বনে বনে…


৭/৩/২০১৬
পানিবাসর

বিরোধী আসনে বিলিয়ন ভোল্টের ব্যাটারি বসানো। এলপিজি সিলিন্ডারের ওজোনস্তর পাতলা তাই রান্না স্বাদ এল না। আহেলীর নৃত্যভঙ্গিমা পাহাড়ি নদীকে দিয়ে লুকোচুরি খেলি জড়াই আদরে। ওষুধপ্রবণ ছুরি কাঁচি…বাতাসের বারতা…স্মাইলিং বুদ্ধা সবিংবুদ্ধা…দূরজার্নি মানেই বকুলের শ্রাদ্ধবাসর চোখে পড়বে। এখানে গ্রিনহাউসের দন্ডবিধি আর শুধু রবীন্দ্রসঙ্গীত চলিবে। বাওবাবের বুকে যেখানে ব্লকেজ সেখানে লিনেটের গার্হস্থ্য। এরা রবীন্দ্রসঙ্গীতে কি এক হর্মোন মেশায় আর লাভজয় ওড়ে… সৌরবাসিন্দা আমি টাল সামলাই বিছানার চাদর ধরে। সৌরমদে ডুবে আছি বছর চারশো ষাট কোটি। আঁখিয়ার শরীর আগামী শীতে জাঁকানো পনীর হবে। মালিকানা কোথায় লাগানো…ফুটন্ত বীর্যের বুদ্বুদ কোলাহল শুনতে শুনতে বধির। ভেবে পাই না কোন রাধার দশমহাবিদ্যাকে শতমহাবিদ্যা করলাম। চোখের জলে ভেজা অন্ন খেতে খেতে তা অসামান্য গৌরী। পিঠে হাত বোলালেই সমুদ্র ফণা বানায় ঘুমোলেই বালিকাঁকড়ার চলাচলি চোখের পাতায়। টিশার্টে মাকড়শা ব্রোচ কে খুন করল। মূল্যবোধ হারানো ফুলস্টপ নদীতে ভেসে যায়…একদলা ঘড়ঘড়ে হাসির ভিতর খুন…শুভেচ্ছা খুন…

আজ সবাই মামনির কাছে বেটা। ওদের অসহায়তা জীবাশ্মজল। মামনি কোল দেয় - দীঘিজীবনের যাদু…আঁখিয়ার চোখে অশ্রুটগর কেউ হোমো বলে ব্যঙ্গ করল। মামনির বন্ধনে আমি পরমেশ্বর… ছন্দের মুক্তদল পপকর্ন। আঁখিয়া আমাকে ছাড়িয়ে নিয়ে এল। আমি কঙ্কালচাবি। এই প্রথম আমার শ্রদ্ধেয় লিঙ্গ দিয়ে গ্যালন গ্যালন অ্যালকোহল বেরচ্ছে বীর্য হিসেবে।


১০/৩/২০১৬
গ্রীষ্মমদের শেষ বাষ্প

পাথর হবার আছে সমস্যা ও তপস্যা। মানুষের লেজে অ্যাতো কাঁটা রাহুর ও অ্যাতো নেই। ল্যাংড়া হায়নার দল অ্যানিম্যাল প্ল্যানেট ছেড়ে প্ল্যান করে মেলায় এসেছে। ঠোঁটে লাগা শ্লোক আর লিপস্টিকের একটা লুকস্ִ…কিছুতেই বহুগামী হতে চাইছে না। ধামসামাদল আসর…আজকেই পৃথিবীর হাতপাছোঁড়া চল্লিশতম নদীতে জলহংসী নাচ। পাঁজরের ফুটো আজ বড়ো হতে হতে শহর গিলে নেবে। হাসপাতালের মেঘ নোনতা জলকন্যা নোনতা…জলভ্রম আর মেঘাতংক… আহেলীকে নিয়ে মুস্কিল। প্রতিশোধ নিতে নিতে ওর সব চুল ঝরে যাবে। আলতা আঙুলের টুসকি..…।  অহল্যা জরায়ুটি ডাক্তারের দয়ায় রিসাইকল বিনে। গা ঘুলিয়ে উঠল। এখানেই দীর্ঘ ঔপনিবেশিক জীবন আমার। চারদিকে ঝাপসা অ্যাপ্রন…মায়াক্ষরা আঙুল। কাঁচের চামড়া মোড়া আঁখিয়া। ওর মোবাইলটাও নারী। জ্বলছে ভুল বোতাম ওটি রুমের। আমি ছেড়ে যাচ্ছি মাটির বাড়ি সামনে কল টিউববাতির পোকা আদ্যানারীদের বিলাসকলাসু কুতূহলম।

অরুচি ছোঁয়না আমাকে। আকাশকে সরল বল্লে দি এজ অফ ইনোসেন্স ফুরায় না। শরীর দুলে উঠল কি মাছ ধরেছ বড়শিঁ দিয়া বোতলায়িত পার্টিতে পায়েল কোয়েল দোয়েলদের ছটফটানি। নূপুরছন্দা নারীটির প্রতি চুমুভিক্ষাতে অঙ্গিরার ফুলকি। ট্যাবু কেন…এখানেই দ্বিজ হলাম। চলুক হিংসুকদের ধমকানি…সমুদ্রঘোটকীর ডিম্ব ও চুম্ব ফুটিফাটা। কি লিখেছ ফাটাফাটি! কাঁথাস্টিচে ছড়ানো লুকোচুরি…বৈদ্যুতিন চুল্লিতে ডিনামাইট সিদ্ধ করে খাওয়াই নিকম্মাদের। উৎকৃষ্টে বসে মন শঙ্খচূড় জানে খিদের সময়ে স্বজাতির কাউকে ছাড় দিতে নেই। জানি আহেলী আমাকে একদিন খুব সাধারণ এক আরামকেদারায় অধিষ্ঠিত রাজামশাই ডাকবে। সিংহাসন বনে বনে লুকোচুরি খেলছে তখন। আমি আর সে ডিম বিনস ও গুফের হৃদয় খুঁজি কাঁটাচামোচে। জানিনা কখন কাঁটাচামোচ ঠোঁটে ফুটে রক্ত বেরোলো হু:


১২/৩/২০১৬
উশকোখুশকো খুশিমাঠ

খুন হয়ে গেছি জানে প্রতিটি পেট্রোলপাম্প। ছুটি কিছুটা খুঁড়িয়ে  কিছুটা ভালো। এভাবে জরায়ু ট্রান্সপ্লান্টেশনের বকুলক্রিয়ায় থমকে যাই। এখন নদীকে মেলায় মাঠের মধ্যে দিয়ে বইয়ে নিয়ে যেতে হবে। আহেলীর নিরাপত্তাকালীন ফোন নাম্বার প্রতিটি বয়াকে দিয়েছি।আজ তো উশকোখুশকো খুশিমাঠ।ওর দুমুখো ওড়না…দুমুখে  মিথ্যের কার্বনপেপার…

বোঁটাখসা শিউলিদের রেলস্টেসন…জীবন জুড়ে বিপত্নীক রান্নার সৌরভ…পানপরাগের পদ্মরাগমণিমালা গলায় স্টেসন… আঁখিয়া কোমাকুয়াশায়।কবিতাশক্তি ট্যাব্লেটের দাম পড়ছে। আমরা বকখালির কলাঝোপে…অবিরাম ঢাকের নৈঃশব্দ বাজে…এক দুজে কে লিয়ে ম্যানসনের ছায়ায়। প্লাস্টার অফ পারিস বাঁধানো চোখ মিথ্যে বলে না। স্মৃতিডিস্ক পুড়িয়ে দিচ্ছি যত্নে। বাথটাবে ঘুমিয়ে পড়েছি আজ।

কিছু বিপরীতার্থক বুলেট বুকে এফোঁড় ওফোঁড়। খুশি মস্করায় বিজ্ঞাপনের মশা ওড়ে। ভলভো বাসকে ঠকিয়ে চাঁদমারির শেয়াল উড়ে যায়। সুগন্ধি ভ্যাঁপসায় খুনির গল্প বলে কেউ। মাত্র ছ টাকায় কেনা রাগি চাঁদমুখ… হাসপাতালের মেঘ নোনতা…ঘরে যেতে যেতে তা মিষ্টি হবে হয়তো। তাহলে তুমি খুশি? হ্যাঁ উশকোখুশকো খুশি। উপন্যাসের নাম দুহাজার ষোল। লেটাস পাতার গন্ধ পায়রার ডানায়। ক্ষয়াচাঁদ বিছানার অধিকারবোধে ডুবে। আর কখনো পূর্বমেঘে ফিরে যাওয়া…


১৩/৩/২০১৬
ভায়োলিনের ভূতোর্মি 

পৃথিবীকে ভুল বোঝাই। যাপনের নুনমরিচ ভুল…অন্যমনস্কতা গুঁজি। উঠোনের গন্ধরাজ @ কবিতার নিয়ম। ওকে চড়ুইরাজা ডাকি। প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টাটকা নাচের ফ্লোর…কবিতাবাসর। এই সব স্লাইড শো পরের শতাব্দীতে চুরি যাবে। আঁখিয়াকে জানানো নিরর্থক। সে তো নিপাতনে সিদ্ধ কবিতা আমার। ডায়েরি কবিতা খসছে মেমরি ডিস্কের অনুমতি নিয়ে। বেডল্যাম্প হল ঝাড়বাতি। আমারি মাথা নিচু। আমি মতান্তরে প্রেমিক নামান্তরে বাবা। কি যে করি। ওর পালক বাবা মা আছে। শিলিগুড়ির এক চার্চ থেকে পাওয়া। কমপয়সার সংসার। আপাতত আমি ব্লকড্। এখন দুপুরের ভাত ঘাস…রাতেরটা মৌসুমিবায়ু

পাখিসন্ন্যাসের লগ্ন…এক ফোঁটা জলের সিরিজ… অপারেশন টেবিলে পা ছড়িয়ে বসা দেবী… আঠেরোর আহেলী ম্যাথিউ। হ্যারি পটার মাথায় ঘোরা বারডানসার। আঁখিয়ার বটুয়ায় বেঁচে থাকা বিড়াল। রাহাজানি জানাজানির পর আঁখিয়া কি বা পেত। অতএব আমি নিজেই ফাদার তস্য ফাদার নিজেই কবুলকারি। গল্পের ঝুরিমাখা বটগাছের ভিতর কোথাও হারিয়ে যাচ্ছি। কিম্বা আহেলীকে প্রমাণ দেব রূপকথার?  অলীকহৃদয়। তালুতে জীবন্ত কাঁচের দানার খেলা। গ্লাস বিড গেম…মা তোর কোথাও ছিল না মামনি…

বাডি বডি মৃতদেহ। সারাদিন ধকল। কিছু মাথা সাক্ষী থাকল ভালোবাসার। সাদামালা ও ফুলছাওয়া বিদায়। কার জন্মদিন ! কার মৃত্যুদিন ! আহেলী ম্যাথুর লকেট জানে। আঁখিয়া ব্রক্ষ্মর অ্যালবাম জানে। প্রদীপ নেভায় না আত্মখতমেচ্ছু সলতে। পাষাণধ্বনি…বিষ হাওয়া ভরা ফুটবল ব্লাডারের হিয়া …এখানে বাল্যরস ভরতে হবে। ভাবতেও… ডুবে আছি ভায়োলিনের ভূতোর্মি কান্নায়। ভালো থেকো পৃথিবী…

শবসাধনায় প্রীতির নিদর্শন একটি গ্যাসকাটার। নিজে পরাই চান্দেরি আকাশরঙা।  মালা কাজল আর আর আরো…এই জলখাতা বিসর্জন তোমাদের সবার।