মাছিদের দেবতা-৩৩
সে ভেঙ্গে ওঠেনি এখনো, আর শব্দের মধ্যে
ঢুকে পড়েছে, পাথরকে পাথর করে রাখে সে
জল কে জল করে রাখে, আর বাতাস আসে
আমাদের মধ্যের সমস্ত কথাবার্তা উড়িয়ে নিয়ে যায়
অন্তর্বাস থেকে চেনা ঘামের গন্ধ তাড়িয়ে নিয়ে যায়
সেটুকুই তুমি, বুননের মধ্যে, বেতের ঝুড়ি
আর আঙ্গুলের মধ্যে যতটুকু সময় চলে ফেরে
মাথার ভেতর পাথরকে পাথর করে রাখে
জলকে জল করে রাখে
কেউ কাউকে ছুঁয়ে উঠতে পারে না
কেউ কাউকে মলিন করতে পারে না
মাছিদের দেবতা-৩৪
ঐ স্তব্ধতাকে ধরতে পার? যে আকাশ
থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে আর খানখান হয়ে
যায় আমাদের ঠোঁটের মাঝখানে
বরফ মশমশ করে বুটের পর বুট
চলে যাচ্ছে, শব্দগুলো ভাষার দিকে ঢলে পড়ছে
খুনখামারের শব্দ, বন জরিপের শব্দ
ক্রিমে সাঁতলে নেয়া বগ্লাহরিণের মাংস
জিভ আর নাকের মধ্যে ঝাঁঝ হয়ে বেড়ানো
শব্দ—শেষ পর্যন্ত সমস্ত কিছুই
ভাষা হয়ে ওঠে
সারাদিন শীতে কেঁপে ওঠে
সারাদিন লাইনের মাঝখান দিয়ে কুঁদে কুঁদে
স্মৃতি মুছে ফেলে
মাছিদের দেবতা-৩৫
আলো কি বদলে যাবে? প্রতিক্রিয়া?
হাসতে হাসতে বুঝতে পারব, মরচে ধরছে
শব্দে, আর চোখের ভেতর ছোট্ট হয়ে আসবে
তুমি, শরীরের ভেতর কেঁদে উঠবে শরীর
এ’সমস্ত ঘুমের কথা, হত্যার কথা
আয়নার ভেতর তোমাকে লুকিয়ে রাখার কথা
হেমন্ত চিরে ট্রেন চলে যাচ্ছে
আমলকি বাগান চিরে ট্রেন চলে যাচ্ছে
কাঁপন হয়ে ঠোঁটে বসছ
বাড়িঘর হাওয়ায় ভাসছে...